সালেহ্ বিপ্লব: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক টেলিভিশন চ্যানেল থাকায় একদল লোক এর অপব্যবহার  করছে। আওয়ামী সরকারই বেসরকারি খাতে যেগুলোর লাইসেন্স দিয়েছে, সরকার যাই করুক না কেন, তারা এসি রুমে বসে সরকারের সব কাজের সমালোচনা করে ও ‘কিন্তু’ খুঁজে বেড়ায়। তারা দেশের জনগণকে হতাশ করার জন্য এবং বিদেশিদের সামনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কিছু কথাও ছড়িয়ে দেয়। সূত্র: বাসস

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা এ থেকে কী পায়- আমি জানি না। তারা সম্ভবত কিছু হাদিয়া সংগ্রহ করে থাকতে পারে- আমি আসলে বলতে পারবো না। তবে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলে তৃপ্তি পায়।

প্রধানমন্ত্রী রোববার চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে নীলফামারীর চিলাহাটি রেলস্টেশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। 

তিনি বলেন, আমরা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকারের জাতীয় বাজেট দিয়েছি এবং আমরা এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ। আমরা এটি বাস্তবায়ন  করতে পারি এবং আওয়ামী লীগ তা করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর জাতীয় বাজেট পেশ করার পর কিছু লোক বলে সরকারের পক্ষে বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। আমি এই ধরনের লোকদের বলতে চাই যে, অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন, আপনি গত বছর কী বলেছিলেন এবং আজকের বাংলাদেশ কোথা থেকে কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে। অনুগ্রহ করে হিসাব করুন ও তুলনা করুন।

তিনি বলেন, সরকার শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিল এবং প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু আজ সারা বিশ্বে গ্যাস-তেল-কয়লার দাম বাড়ায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। টাকা দিয়েও এখন আর গ্যাস-তেল-কয়লা কেনা সম্ভব নয়। 

শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি এজন্য এই গ্রীষ্মে মানুষ কয়েকটি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। একদিকে মুদ্রাস্ফীতি অন্যদিকে লোডশেডিং- এই দুটি সমস্যায় আমার দেশের মানুষ ভুগছে।

তিনি বলেন, আজ যুদ্ধের কারণে বিশ্বের প্রতিটি দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ এখনো কোনো সংকটের মধ্যে পড়েনি এবং ইনশাআল্লাহ, দেশ এমন পরিস্থিতিতে পড়বে না।  কিন্তু এ জন্য আমাদের দেশের জনগণকে একটা কাজ করতে হবে। আমি বারবার বলছি যে, আমাদের যত অনাবাদি জমি আছে তার সব চাষ করতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের যত জলাশয় আছে সেখানে মাছ চাষ করতে হবে।  

তিনি বলেন, সরকার সারাদেশে রেল নেটওয়ার্ক সম্প্রারণ করছে এবং পদ্মা সেতুতে রেল চালুর পর ভাঙ্গা থেকে বরিশালের রেল যোগাযোগ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। বরিশালের মানুষ রেললাইন দেখতে পায়নি। তাই আমাদেরও বরিশাল থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা করতে হবে। সম্পাদনা: এল আর বাদল